২২ জুন: কাতারে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত আল-উদেইদ বিমানঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে কাতার। সোমবার রাতে ঘাঁটিতে হামলার ঘটনায় কাতার এ পদক্ষেপ নেয় বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে কাতার জানায়,
“এই হামলা ছিল চরম মাত্রার উসকানি এবং কাতারের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি গোটা অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”
আন্তর্জাতিক আইনে জবাব দেওয়ার অধিকার
কাতার আরও বলেছে, জাতিসংঘ সনদ ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, তারা এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে। একইসঙ্গে দেশটি দোহায় নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে এবং কূটনৈতিকভাবে নিজেদের অসন্তোষ জানায়।
ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত ও মতবিরোধ
কাতার দাবি করেছে, তারা ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ইরান পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলার লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি, কাতার নয়।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই এক বিবৃতিতে বলেন,
“এই হামলা ছিল আত্মরক্ষামূলক পদক্ষেপ। ইরান কাতারসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আস্থাভাজন সম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়ছে
এই ঘটনার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, কাতারের মতো কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ দেশের সরাসরি প্রতিক্রিয়া আঞ্চলিক কূটনৈতিক চাপ বাড়িয়ে তুলবে।