• ২৯শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন বিটিএস তারকা সুগা

বিনোদন
প্রকাশিত জুন ২৬, ২০২৫, ১৪:৪৩ অপরাহ্ণ
অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন বিটিএস তারকা সুগা

অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের পাশে দাঁড়িয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় কে-পপ ব্যান্ড বিটিএসের সদস্য সুগা।

সংবাদটি শেয়ার করুন....

কে-পপ জগতের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা ও বিটিএস সদস্য সুগা (আসল নাম মিন ইউং-গি) আবারও প্রমাণ করলেন, সংগীতের পাশাপাশি তিনি মানবিক কাজেও সমানভাবে নিবেদিত। সম্প্রতি তিনি ৫০০ কোটি কোরীয় ওন (প্রায় ৩৬ কোটি টাকার বেশি) অনুদান দিয়েছেন অটিজমে আক্রান্ত শিশু-কিশোরদের কল্যাণে।

এই অনুদানে সিউলের সেভেরান্স হাসপাতালে ‘মিন ইউং-গি’ নামে একটি আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই কেন্দ্রটি চালু হওয়ার কথা রয়েছে, যেখানে অটিজমে আক্রান্ত শিশু ও কিশোরদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্যসেবা, থেরাপি ও সংগীতচর্চা-ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

🎤 সুগার মানবিক বার্তা

সুগা এক বিবৃতিতে জানান, “গত সাত মাস ধরে এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। আমি মনে করি, সংগীতের পাশাপাশি মানুষের কল্যাণে কাজ করাটাও যোগাযোগের একটি শক্তিশালী উপায়।” তিনি আরও বলেন, এই ধরনের কাজে যুক্ত হতে পেরে তিনি কৃতজ্ঞ।

🏥 হাসপাতালের পক্ষ থেকে বার্তা

সেভেরান্স হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, “মিন ইউং-গি সেন্টার শুধু একটি চিকিৎসাকেন্দ্র নয়, এটি হবে এক অনন্য প্রতিষ্ঠান—যেখানে চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও সংগীতচর্চার সংমিশ্রণে শিশুদের বিকাশে কাজ করা হবে।”

🪖 সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে ফিরলেন সুগা

গত শনিবার ১৮ মাসের বাধ্যতামূলক সামরিক সেবা শেষ করেছেন সুগা। অন্যান্য সদস্যদের মতো তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ না করে ‘সোশ্যাল সার্ভিস এজেন্ট’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার কাঁধের পুরনো ইনজুরির কারণে তাকে বিকল্প সেবায় নিযুক্ত করা হয়েছিল।

বিটিএসের অন্য সদস্যদের—আরএম, জিন, জে-হোপ, জিমিন, ভি ও জাংকুক—এরই মধ্যে সামরিক সেবা শেষ হয়েছে। এখন তিন বছর পর আবারও একসঙ্গে হচ্ছেন সাতজন সদস্য, যা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তাদের ভক্তদের মধ্যে চরম উত্তেজনা কাজ করছে।

২০২২ সালের ১৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ‘ইয়েট টু কাম’ কনসার্টে বিটিএস শেষবার মঞ্চে পারফর্ম করেছিল। সেই কনসার্টেই তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন—ফিরে এসে আরও নতুন গান ও পারফরম্যান্স নিয়ে হাজির হবেন। এখন সেই প্রতীক্ষার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।