
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মোঃ এনামুল কবির দৈনিক ভোরকে বলেন, প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে কনসালটেন্ট নিয়োগ ও ২৫০ জন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়াটি অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম সম্পন্ন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।। তিনি বলেন,এই প্রকল্পের কনসালটেন্ট নিয়োগের প্রক্রিয়াটি পূর্বের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম সম্পন্ন করে গেছেন, এতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। কনসাল্টেন্ট নিয়োগের ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন ঘটেছে কিনা, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নয়, কোন আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই এবং২৫০ জন জনবল নিয়োগের বিষয়টি সম্পর্কে প্রকল্প পরিচালক মোঃ এনামুল কবির বলেন, এ বিষয়ে পূর্বের প্রকল্প পরিচালক দরপত্র আহবান করে গেছেন এবং সে অনুযায়ী চারটি আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠান দরপত্রে অংশগ্রহণ করেছেন। ডিপার্টমেন্টাল মূল্যায়ন কমিটি বিষয়টি যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত দিবেন। জনবল নিয়োগের বিষয়ে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি জানান, এ ব্যাপারে আমি কোন ভাবেই অবগত নয়। তবে এলজিইডি সূত্রে জানান যে, কনসালটেন্ট ও জনবল নিয়োগ এর ক্ষেত্রে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেন হতে পারে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে মন্ত্রণালয় সহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যাচাই-বাছাইসহ তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। প্রকল্প পরিচালক মোঃ এনামুল কবির আরো বলেন, ইতোমধ্যে ৬৫ টি সাব-প্রজেক্ট প্রথম ধাপে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে প্রথম ধাপের ৬৫ টি সাব-প্রজেক্ট বাস্তবায়নে কনসালটেন্ট নিয়োগের পূর্বেই কোন প্রক্রিয়ায় করা হবে,এ বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি প্রকল্প পরিচালক মোঃ এনামুল কবির। তবে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ এনামুল হক ও প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আব্দুর রশীদ মিয়া তার কর্মকাণ্ডে বিব্রত। তিনি যথারীতি নিয়মিত অফিস না করে মন্ত্রণালয় ঘুরে বেড়ান এ ধরনের অভিযোগ এলজিইডির সর্বমহলের। তবে এলজিইডির অনেক কর্মকর্তা বলেন, নিয়মিত অফিস না করে মন্ত্রণালয়ে ঘোরাঘুরি করা চাকরির বিধি বিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রকল্প পরিচালক মোঃ এনামুল কবির বলেন, প্রায় ২,২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে CDRSSWRMP প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের এখনো অনেক অনুমোদন নেয়া প্রয়োজন।যে কারণে সাধারণত মন্ত্রণালয় যাতায়াত করি।