• ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজউক কর্তৃক বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরীর জন্য ড্রেইনেজ ও বন্যা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন বিষয়ক অংশীজন কর্মশালা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৫, ১৮:২৯ অপরাহ্ণ
রাজউক কর্তৃক বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরীর জন্য ড্রেইনেজ ও বন্যা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন বিষয়ক অংশীজন কর্মশালা অনুষ্ঠিত
সংবাদটি শেয়ার করুন....

আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, রোজ বৃহস্পতিবার, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এর সম্মেলন কক্ষে বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী নিশ্চিতকল্পে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক গৃহীত একটি ন্যায়সঙ্গত অংশগ্রহণমূলক কর্মপরিকল্পনা (Action Plan) প্রণয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরীর জন্য ড্রেইনেজ ও বন্যা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়ন” বিষয়ক একটি দিনব্যাপী অংশীজন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল মো: ছিদ্দিকুর রহমান সরকার (অব.), চেয়ারম্যান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। উক্ত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জনাব ইঞ্জিনিয়ার মো: রিয়াজুল ইসলাম, সদস্য (পরিকল্পনা), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনাব ডঃ মোঃ মোস্তফা আলী, অধ্যাপক, পানি সম্পদ কৌশল বিভাগ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যাল (বুয়েট)।

উক্ত কর্মশালায় সভাপতির বক্তব্যে জনাব ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে জলাবদ্ধতা থাকলেও কেও তা নিয়ে কাজ করেনা। হঠাৎ জলাবদ্ধতা বেড়ে গেলে তখন আমরা বিপদে পরে যাই। এর থেকে যদি আমরা আগে থেকেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করি, তাহলে বর্ষাকালে আর ভারী জলাবদ্ধতার সম্মুখীন হতে হবে না। এক্ষেত্রে রাজউক সহ অন্যান্য অংশীজনদের একযোগে কাজ করতে হবে।”

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজউক চেয়ারম্যান বলেন, “একটি সুন্দর, বাসযোগ্য ঢাকা গঠনের জন্য আমরা কর্মপরিকল্পনা করতে চাচ্ছি। সকল অংশীদারদের নিয়ে রাজউক কাজ করছে।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকায় একসময় যে পরিমাণে জলাভূমি ছিল, তার বেশিরভাগই এখন ভরাট হয়ে গেছে। এখন বুয়েটের মতো এলাকাতেও অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এর নিরসনে আমাদের দ্রুত সৃসৃজনশীল এবং উদ্ভাবনী কৌশল প্রনয়ণ করতে হবে। আমরা দখলকৃত জলাভূমি গুলো উদ্ধার করে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন করব। পাশাপাশি আমাদের নিজেদেরও সচেতন হতে হবে। যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে ড্রেন ভরাট করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমি আশাবাদী আমরা সকল অংশীজনরা মিলে একটি কার্যকর কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করতে পারবো।”

আজকের কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনে ড. মোস্তফা আলী বলেন, ” ঢাকা শহরের খাল গুলোর অব্যবস্থাপনা, সুনির্দিষ্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব সহ বিভিন্ন কারণে জলাবদ্ধতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যা অতিমাত্রায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। এর সমাধানে খালগুলো অনতিবিলম্বে পুনরুদ্ধার করা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।
কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি, ঢাকা ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।