• ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুনে করোনায় ২২ ও ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু

ঢাকা
প্রকাশিত জুলাই ১, ২০২৫, ১২:২৯ অপরাহ্ণ
জুনে করোনায় ২২ ও ডেঙ্গুতে ১৯ জনের মৃত্যু
সংবাদটি শেয়ার করুন....

চলতি বছরের জুন মাসে দেশে হঠাৎ করে করোনা ও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়। বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা, একই সঙ্গে বাড়ে মৃত্যুর হারও। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন মাসে করোনায় মারা গেছেন ২২ জন এবং ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ১৯ জন। চলতি বছর একক মাসে এটিই সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।

ডেঙ্গুর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ১০ জন মারা যান এবং ১,১৬১ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। ফেব্রুয়ারিতে মৃত্যু হয় ৩ জনের, ভর্তি হন ৩৭৪ জন। মার্চ মাসে কোনো মৃত্যুর ঘটনা না থাকলেও ভর্তি হন ৩৩৬ জন। এপ্রিল মাসে ৭ জনের মৃত্যু ও ৭০১ জন ভর্তি এবং মে মাসে ৩ জনের মৃত্যু ও ১,৭৭৩ জনের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর, জুনে সর্বোচ্চ ১৯ জন মারা যান এবং হাসপাতালে ভর্তি হন ৫,৯৫১ জন।

চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মোট ১০,২৯৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, যার মধ্যে ৯,০৮৭ জন সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের।

অন্যদিকে, জুন মাসে করোনার সংক্রমণও বেড়ে যায়। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের পেছনে মূল ভূমিকা রাখছে দুটি নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট—এক্সএফজি এবং এক্সএফসি।

জুনের প্রথম দশ দিনে ১৪টি জিনোম সিকোয়েন্সের মধ্যে ১২টিতেই এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে। এটি মূলত ওমিক্রনের জেএন.১-এর উপধারা। বর্তমানে প্রাপ্ত নমুনার প্রায় সবগুলোতেই এক্সএফজি ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যাচ্ছে।

গত মাসে দেশে মোট ১,৪০৯ জনের করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়, যার মধ্যে ১৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয় এবং মৃত্যু হয় ২২ জনের। আশ্চর্যের বিষয়, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যত করোনা রোগী মারা গেছেন, সবাই মারা গেছেন শুধুমাত্র জুন মাসে।

করোনা মহামারির শুরু থেকে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৫২ হাজার ৯৩ জন এবং মোট মৃত্যু ২৯ হাজার ৫২১ জন।

চিকিৎসক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার নতুন ধরনগুলোর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি হলেও রোগের তীব্রতা এখন পর্যন্ত কম। তবে অসচেতনতা ও অবহেলার কারণে এই ধরনগুলো আরও শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।