ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল-৭ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ খয়বর রহমান বলেন ,এ অঞ্চলের নাগরিকদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান সহ হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণের বিষয়টি ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবো। তিনি আরো বলেন, অঞ্চল-৭ এ যোগদানের পর থেকে এ অঞ্চলের প্রতিটি ওয়ার্ডে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। তিনি লক্ষ্য করেছেন,এই ওয়ার্ডগুলোর নাগরিকগন ডিএনসিসির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত। এ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে রাস্তাঘাট -নির্মাণ, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়তি ও মশক নিধনসহ সিটি কর্পোরেশনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদানে ডিএনসিসি কাজ করে যাচ্ছেন। এ অঞ্চল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সিটি কর্পোরেশনের আহতাভুক্ত হওয়ায় প্রতিটি ওয়ার্ডই সব ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে ডিএনসিসি একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যে কাজগুলো আর্মির ইঞ্জিনিয়ারিং ২৪ ব্রিগেট বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন। একটু সময় লাগলেও অচিরেই এতদা অঞ্চলের নাগরিকগণ সিটি কর্পোরেশন ভুক্ত সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন। হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণের বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তিনি জানান, এ সংক্রান্ত বিষয়ে এ অঞ্চলের নাগরিকদের কোন আবেদন আমার কাছে আসলে আমি বিষয়টি ডিএনসিসির কর্তৃপক্ষের আমলে দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব। যাতে কর্তৃপক্ষ সার্বিক দিক বিবেচনা করে নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ করে হোল্ডিং ট্যাক্স নির্ধারণ করেন। অযথাচিত অতিরিক্ত অর্থ কোন নাগরিককে যেন প্রদান করতে না হয়। ডিএনসিসির আওতাভুক্ত রাস্তাঘাট নির্মাণ ও বাস্তবায়নের সাথে সম্পৃক্ত আর্মির ২৪-বিগ্রেডের দায়িত্বশীল একটি সূত্র নিশ্চিত করে বলেন, ডিএনসিসির নতুন ওয়ার্ড নিয়ে যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে, সেই প্রকল্পটি আর্মির ২৪ ব্রিগেট এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে ।সে ক্ষেত্রে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দ্রুত গতিতে চলমান রয়েছে এবং বর্ষা মৌসুম আসার আগেই অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমাপ্তি হবে ও বর্ষা মৌসুম পরবর্তী পর্যায়ে বাকি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো শুরু করে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে। ডিএনসিসির ৪৯ নং ওয়ার্ডের একটি স্কিম বাস্তবায়ন নিয়ে তিনি জানান, ৪৯ নং ওয়ার্ড আশকোনা ,কলেজ রোডের মদিনা টাওয়ার হয়ে সিটি কমপ্লেক্স ও আমতলা থেকে কসাইবাড়ি র প্রধান সড়কের সিঙ্গার শোরুমের সম্মুখ গিয়ে সংযুক্ত হবেন। সেক্ষেত্রে রাস্তাটি ৩০ ফিট থাকলেও আমতলা পরবর্তী পর্যায়ে রাস্তা যথেষ্ট ছোট, আশেপাশে অনেক ছোট বড় ভবন থাকায় রাস্তাটি একুশ ফিট করার চিন্তা ভাবনা চলছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসের দিকে এই কাজটি শুরু করে অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার হবে।