• ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবারও উন্মুক্ত হচ্ছে

ঢাকা
প্রকাশিত মে ১৫, ২০২৫, ১৯:০৪ অপরাহ্ণ
বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবারও উন্মুক্ত হচ্ছে
সংবাদটি শেয়ার করুন....

২০২৫ সালে মালয়েশিয়ায় এক থেকে দেড় লাখ বাংলাদেশি শ্রমিকের চাকরির সুযোগ

বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য আবারও উন্মুক্ত হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেও স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

এটি নিশ্চিত করেছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, মালয়েশিয়ায় সরকারি সফর শেষে বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায়।

প্রথম ধাপে ৭,৯২৬ জন নিয়োগ নিশ্চিত, আরও ১-১.৫ লাখ আসবে পরবর্তীতে

বৈঠকে জানানো হয়, প্রথম ধাপে ৭,৯২৬ জন বাংলাদেশি শ্রমিক মালয়েশিয়ায় কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। এরপর ধাপে ধাপে আরও এক থেকে দেড় লাখ কর্মী নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ থাকা এই শ্রমবাজারটি আবারও বাংলাদেশের জন্য রেমিট্যান্স বৃদ্ধির দ্বার খুলে দিচ্ছে।

মালয়েশিয়া-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ফলাফল

মালয়েশিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ড. আনোয়ার ইব্রাহিম এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব এই অগ্রগতির পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে।

২০২৪ সালে ঢাকায় সফরের সময় আনোয়ার ইব্রাহিম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার দরজা খুলে দেওয়া হবে—এখন সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পথে।

মাল্টিপল ভিসা সুবিধা ও অবৈধদের বৈধতা নিয়ে আলোচনা

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসার পরিবর্তে মাল্টিপল ভিসা দেওয়ার প্রস্তাব মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে উত্থাপন করা হয়, যা নিয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে।

তাছাড়া, যেসব বাংলাদেশি বর্তমানে অবৈধ হয়ে রয়েছেন, তাদের পুনরায় বৈধ করার অনুরোধও জানানো হয়েছে। মালয়েশিয়া বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।

দক্ষ কর্মী নিয়োগেও আগ্রহ মালয়েশিয়ার

বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তাকর্মী, নার্স ও কেয়ারগিভারসহ দক্ষ কর্মী নেওয়ার প্রস্তাবও পেশ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় বিষয়টি ভালোভাবে পর্যালোচনা করছে।

সফরের সাফল্য ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা

সফরে অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া, উপসচিব মো. সারওয়ার আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী
তাঁরা জানান, সরকারের মূল লক্ষ্য হলো—নিরাপদ, সম্মানজনক ও লাভজনক অভিবাসন নিশ্চিত করা