• ৬ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২২শে শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আঁশ থেকে আয়, গ্রাম থেকে বিশ্ববাজারে জয়পুরহাটের তরুণ উদ্যোক্তা

 নিজস্ব প্রতিবেদক,জয়পুরহাট
প্রকাশিত আগস্ট ৪, ২০২৫, ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ
আঁশ থেকে আয়, গ্রাম থেকে বিশ্ববাজারে জয়পুরহাটের তরুণ উদ্যোক্তা
সংবাদটি শেয়ার করুন....

অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও সৃজনশীল চিন্তার জোরে মাছের আঁশকে সম্ভাবনাময় সম্পদে পরিণত করেছেন তরুণ উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন। একসময় ভাঙারির দোকানে মজুর হিসেবে কাজ করতেন, পরে যুক্ত হন কুচিয়া মাছের ব্যবসায়। এখন তিনি মাছের আঁশ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণনের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন একটি সফল উদ্যোগ। তিনি জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পাঁচগ্রাম মৃধা পাড়ার হেলাল উদ্দিনের ছেলে।

এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগে ইমরানের পাশে থেকেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘এহেড সোশ্যাল অর্গানাইজেশন (এসো)’ ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। ইমরান স্থানীয় হাটবাজার থেকে মাছ প্রসেসিংয়ের পর ফেলে দেওয়া আঁশ সংগ্রহ করেন, সেগুলো পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে পাঠান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। পরবর্তীতে এই আঁশ রপ্তানি হয়ে পৌঁছে যায় আন্তর্জাতিক বাজারে। এই কার্যক্রমে স্থানীয় পর্যায়ে যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে, তেমনি দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের নতুন দ্বারও খুলেছে।

‘এসো’-এর কৃষি ইউনিটের মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান জানান, মাছের আঁশ প্রক্রিয়াজাত করে কোলাজেন, জেলাটিন ও ক্যালসিয়ামজাতীয় উপাদান তৈরি করা যায়। যা প্রসাধনী, ওষুধ ও খাদ্য শিল্পে বহুল ব্যবহৃত। এটি একদিকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক পন্থা, অন্যদিকে পরিবেশ সংরক্ষণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র।

কালাই উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মোছা. তৌহিদা মোহতামিম বলেন, ‘ইমরানের মতো উদ্যোক্তারা দেশের মাছ শিল্পকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিচ্ছেন।

তার উদ্যোগ শুধু কর্মসংস্থানের সুযোগই সৃষ্টি করেনি, বরং বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে জাতীয় অর্থনীতিতেও রেখেছে ইতিবাচক প্রভাব।’