রাজধানীর সর্ব উত্তরের থানার নাম তুরাগ। বর্তমানে এ অঞ্চলের রাস্তাঘাটের চরম অবনতি ঘটেছে। অধিকাংশ সড়ক ভাঙাচোরা এবং বড় বড় গর্তে ভরা। কিছু কিছু সড়ক এতটাই খারাপ যে তা যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে যানজট, জলাবদ্ধতা ও নাগরিক সেবার অভাবে তুরাগবাসী চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এই তথ্য পাওয়া গেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত থেকে।
সরেজমিন ঘুরে এবং অনুসন্ধান করে জানা গেছে, রাজধানীর সর্ব উত্তরের থানাটি হচ্ছে তুরাগ, যা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ৫২, ৫৩, ৫৪ ও ৫১ নম্বর (আংশিক) ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এখানে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সাথে বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যাও। ফলে তুরাগ থানা এলাকা এখন একটি জনবহুল অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এই এলাকায় লাখ লাখ মানুষের বসবাস। মানুষের নিরাপত্তার জন্য এখানে রয়েছে একটি প্রশাসনিক থানা ভবন এবং একটি পুলিশ ফাঁড়ি (বাউনিয়া)। পূর্বে এই ফাঁড়ি ধউর এলাকায় ছিল এবং তার নাম ছিল ধউর পুলিশ ফাঁড়ি, যা বর্তমানে স্থানান্তরিত হয়েছে। এক সময় এই অঞ্চলটি হরিরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের অধীন ছিল এবং ঢাকা-০৫ ও ১১ সংসদীয় আসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। বর্তমানে এটি ঢাকা-১৮ আসনের অন্তর্ভুক্ত।
আজ রোববার চন্ডাল ভোগ, ডিয়াবাড়ি, নলভোগ, বাউনিয়া, বাদালদি, উলুদাহ ও তাফালিয়া এলাকায় সরেজমিন পরিদর্শন ও স্থানীয়দের সাথে আলাপকালে এমন পরিস্থিতির চিত্র উঠে আসে।
ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, তুরাগ থানা একটি গুরুত্বপূর্ণ, ঘনবসতিপূর্ণ ও জনবহুল এলাকা। এখানে ডিয়াবাড়ি, তারারটেক, নলভোগ, চন্ডাল ভোগ, রানাভোলা, ফুলবাড়িয়া, নয়ানগর, ধরঙ্গারটেক, বামনারটেক, শুক্র ভাঙা, পাকুরিয়া, দলিপাড়া, খানটেক, বাউনিয়া, বাদালদিসহ ছোট-বড় ৩৩টি গ্রামের অধিকাংশ রাস্তা ভাঙাচোরা ও খানাখন্দে ভরা। এসব রাস্তায় রিকশা, অটোরিকশা, সিএনজি, টমটম, নছিমন, করিমন, লেগুনা চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় যানবাহন উল্টে গিয়ে যাত্রীদের হাত-পা ভেঙে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। রাস্তা-ঘাটের অবস্থা এতটাই খারাপ যে অনেক সময় নিচু এলাকার বস্তি ও বসতবাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছায়। কোনো কোনো সময় মানুষকে বাধ্য হয়ে চরম কষ্ট সহ্য করতে হয়।