স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের CDRSSWRMP প্রকল্পে কনসালটেন্ট নিয়োগে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার এবং প্রকল্প পরিচালক মোঃ এনামুল কবির তদ্ববিরে মন্ত্রণালয় ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২৬২ জন জনবল সম্বলিত ২,২৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ের বৈদেশিক অর্থায়নে এ প্রকল্পটি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে ২০২৯ সালের জুন মাসে শেষ হবে। আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে ২৫৫ জন বল নিয়োগের প্রক্রিয়ারটি প্রায় সম্পন্ন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি নিয়েও যথেষ্ট বিতর্ক রয়েছে। এছাড়া প্রায় ২০০কোটি টাকা ব্যয় কনসালটেন্ট নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের CDRSSWRMP প্রকল্পের কনসালটেন্ট নিয়োগের জন্য ছয়টি ফার্ম প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলে ১টি কনসাল্টেন্ট ফার্ম নির্ধারণ করে, মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণ করে। বর্তমানে কনসালটেন্ট নিয়োগের প্রক্রিয়াটি কেবিনেট ডিভিশনের CCGP কমিটির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এছাড়া কনসালটেন্ট নিয়োগের পূর্বেই ৬৫ টি সাব-প্রজেক্ট বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক মোঃ এনামুল কবির প্রশ্নে কিছুটা উত্তেজিত স্বরে বলেন, কনসালটেন্ট নিয়োগের প্রক্রিয়ায় কোন অনৈতিকতা বা আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে আমার জানা নেই। প্রকল্পের প্রয়োজনে মন্ত্রণালয় যাতায়াতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং ৬৫ টি সাব-প্রজেক্ট বাস্তবায়নে TAPP প্রজেক্টের আওতায় তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১টি সাব- প্রজেক্টের টেন্ডার হয়েছে ও পাঁচটি সাব-প্রজেক্ট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় ঘোরাঘুরির ব্যাপারে বলেন, সঠিক দায়িত্ব পালন করে প্রকল্পের প্রয়োজনে মন্ত্রণালয়ে যাতায়াত করেন। তবে উল্লেখিত প্রকল্পে বরিশাল বিভাগের দায়িত্বরত অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল ইসলাম প্রথম দিকে এই প্রকল্পে দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বেশ কিছু অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ সর্ব মহলে গুঞ্জন রয়েছে।