• ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এলজিইডির ৫ আগস্টের পরবর্তী প্রথম ১৯০৯.০০ কোটি টাকা ব্যয়ের বৈদেশিক অর্থায়নে নতুন প্রকল্প ও রিভাইস প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত এপ্রিল ২১, ২০২৫, ২০:৪১ অপরাহ্ণ
এলজিইডির ৫ আগস্টের পরবর্তী প্রথম ১৯০৯.০০ কোটি টাকা ব্যয়ের বৈদেশিক অর্থায়নে নতুন প্রকল্প ও রিভাইস প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
সংবাদটি শেয়ার করুন....

গত সোমবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দুইটি প্রকল্প অনুমোদন হয়। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় যে,প্রকল্পর দুটি হল Bangladesh sustainable recovery, emergency preparedness and response project(B-STRONG) অপরটি রোহিঙ্গা পূর্ণবাসন সংক্রান্ত রিভাইস প্রকল্প অনুমোদন। প্রথম প্রকল্পটি ভারতের ত্রিপুরায় একটি বাঁধ উপচে পড়া পানি প্রবাহের সাথে দেশে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আন্ত: সীমান্ত নদীগুলো উজানের পানি বৃদ্ধি পায়। ফলে আকস্মিক বন্যা হয়ে দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ -পূর্ব অঞ্চলের ১১টি জেলার ৭৩ টি উপজেলার ৫২৮ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এবং প্রায় ৫.৮ মিলিয়ন মানুষ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।এ বিধংসী বন্যায় পাঁচ লক্ষাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুতি হয়েছে এবং প্রায় ৩৫০০টি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছে। সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে নোয়াখালী, কুমিল্লা, লক্ষ্মীপুর ,ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং চট্টগ্রাম। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব জেলার তুলনামূলক অধিক ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলা সমূহের ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো সমূহের পূর্ণবাসন, গ্রামীণ সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন করন ,দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং রেসপন্সের ক্ষেত্রে দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। শিক্ষাগত সুবিধা উন্নততর করা সহ কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি মাধ্যমে প্রকল্প এলাকায় দরিদ্র হ্রাস করার লক্ষ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে প্রস্তুত করা হয়েছে ।এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯০৯.০০ কোটি টাকা। প্রকল্পের শুরু ০১ এপ্রিল ২০২৫ ,সমাপ্তি ৩০ শে জুন ২০২৯। অপর প্রকল্প রোহিঙ্গা পূর্ণবাসন সংশ্লিষ্ট রিভাইস প্রকল্পটি অনুমোদন হয়। এছাড়া এ প্রকল্প দুটি প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও অনুমোদনের ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতা করে পরিকল্পনা কমিশনের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক ফয়সাল আমিন।