• ২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবীণ সাংবাদিক শামিম আহমদ আর নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত জুলাই ৮, ২০২৫, ০১:২১ পূর্বাহ্ণ
প্রবীণ সাংবাদিক শামিম আহমদ আর নেই
সংবাদটি শেয়ার করুন....

মনির হোসেন জীবন, বিশেষ সংবাদদাতা : ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক শামিম আহমদ আর নেই।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। শামিম আহমেদ বার্তা সংস্থা ইউএনবি’র সাবেক চিফ অব করেসপনডেন্টস ও সিটি এডিটর ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের “প্রেস মিনিস্টার” হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার বাদ আসর খিলগাঁও চৌধুরীপাড়ার মাটির মসজিদে মরহুমের জানাজা হয়। মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করার কথা রয়েছে। আজ রোববার
শামিম আহমদ এর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি মা, ৪ ভাই, ৩ বোন, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। ব্যাক্তি জীবনে তিনি অবিবাহিত ছিলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্থায়ী সদস্য রাশেদ আহমেদ মিতুলের বড় ভাই শামীম আহমদ।

প্রবীণ সাংবাদিক শামীম আহমদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব)।

শামিম আহমদ এর মৃত্যুতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। ডিআরইউ নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

পৃথক শোকবার্তায় ডিক্যাব ব‌লে‌ছে, শামীম আহমদ ছিলেন দেশের সাংবাদিকতা অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। পেশাগত সততা, নিষ্ঠা ও নেতৃত্বগুণে তিনি সাংবাদিকদের জন্য এক অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন। তিনি শুধু একজন দক্ষ সাংবাদিকই নন, ছিলেন একাধারে সংগঠক, অভিভাবক এবং বন্ধু।
‘শামীম আহমদের মৃত্যুতে আমরা একজন অভিজ্ঞ, প্রজ্ঞাবান ও সম্মানিত সহকর্মীকে হারালাম, যিনি ডিক্যাব-এর কার্যক্রমে সব সময় নিবেদিতভাবে যুক্ত ছিলেন এবং সংগঠনের উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন প্রবীণ এই সাংবাদিক।