• ২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দলের জন্য আজীবন রাজনীতি করতে চাই — তৃণমূল বিএনপি কর্মী সাইদুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত জুলাই ৩০, ২০২৫, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ
দলের জন্য আজীবন রাজনীতি করতে চাই — তৃণমূল বিএনপি কর্মী সাইদুল ইসলাম
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর একজন নিবেদিতপ্রাণ তৃণমূল কর্মী হিসেবে আজীবন দলের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন বৃহত্তর উত্তরা থানা বিএনপির সাবেক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম মো. লুৎফর রহমান লাল মিয়া মেম্বারের পুত্র মো. সাইদুল ইসলাম। তরুণ প্রজন্মের অহংকার হিসেবে পরিচিত এই তৃণমূল বিএনপি কর্মী দলের জন্য কাজ করে যেতে চান আমৃত্যু।

বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা জানিয়ে সাইদুল ইসলাম বলেন, “বিগত খুনি শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমি ও আমার পরিবার বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হয়েছি। আমাদের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলার পাশাপাশি ঘরবাড়ি ভেঙে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমার পিতা মরহুম লুৎফর রহমান লাল মিয়া বৃহত্তর উত্তরা থানা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এবং পরবর্তীতে তুরাগ থানা বিএনপির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বাবার হাত ধরেই আমার রাজনীতিতে প্রবেশ। তিনি ছিলেন আমার প্রথম রাজনৈতিক গুরু।”

সাইদুল ইসলাম জানান, পিতার আদর্শ ও নীতি হৃদয়ে ধারণ করে আজও তিনি মাঠপর্যায়ের একজন কর্মী হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

বিএনপিকে একটি সুশৃঙ্খল রাজনৈতিক দল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “বাবার সঙ্গে আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়ে বহুবার পুলিশি হয়রানির শিকার হয়েছি। তবুও দমে যাইনি। যতদিন বাঁচবো, ধানের শীষ প্রতীক নিয়েই থাকবো।”

গত ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেলে তুরাগের ডিয়াবাড়ী এলাকায় এই প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সাইদুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

তিনি জানান, তুরাগের ডিয়াবাড়ী এলাকার এক মুসলিম পরিবারে তার জন্ম। তার পিতা মরহুম মো. লুৎফর রহমান লাল মিয়া ছিলেন ডিএনসিসি’র ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা।

পারিবারিক ও শিক্ষাজীবনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ডিয়াবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে পিতার প্রতিষ্ঠিত ডিয়াবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। উক্ত বিদ্যালয়টি এলাকার গুরুত্বপূর্ণ একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ভোটকেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত। তার পিতা এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ছিলেন।

বর্তমানে তিনি ডিয়াবাড়ী-নিমতলীরটেক জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, তার পিতা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত মিরপুরের সাবেক বিএনপি সংসদ সদস্য মরহুম এস. এ. খালেক (এমপি)-এর সঙ্গে রাজনীতি করেছেন।

তিনি বলেন, “আমি সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে মিটিং, মিছিল ও সমাবেশে নিয়মিত অংশগ্রহণ করি এবং স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় করে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৮ আসনে যাকে দল নমিনেশন দেবে, আমি তার পক্ষ হয়ে নিরলসভাবে কাজ করবো ইনশাআল্লাহ।”

সাইদুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরাও জন্মলগ্ন থেকে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানান তিনি।

সম্প্রতি তুরাগের ডিয়াবাড়ী মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ঘটনাটি আমার বাড়ির পাশে ঘটেছে। আমি দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিহত ও আহতদের পরিবার পরিদর্শনে গিয়েছি এবং জানাজায় অংশগ্রহণ করেছি।”

তিনি জানান, নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় এবং আহতদের সুস্থতার জন্য স্থানীয় বিভিন্ন মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়, যার সবই হয়েছে তার ব্যক্তিগত উদ্যোগে।