মাথাব্যথা একটি সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর শারীরিক সমস্যা, যা অনেকের নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। কেউ হয়তো অফিসে কাজের চাপে ভোগেন, কেউ বা অতিরিক্ত মোবাইল বা কম্পিউটারে চোখ রাখার কারণে সমস্যায় পড়েন। তবে যখন মাথাব্যথা ঘন ঘন হতে থাকে, তখন এটি আর সাধারণ বিষয় থাকে না—বরং হতে পারে কোনো বড় স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত।
মাথাব্যথার সাধারণ কারণ:
-
ঘুমের অভাব:
পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ব্রেইনের বিশ্রাম ব্যাহত হয়, ফলে মাথাব্যথা দেখা দেয়।
-
চোখের চাপ:
দীর্ঘক্ষণ মোবাইল, কম্পিউটার বা টিভি দেখার কারণে চোখে চাপ পড়ে, যা থেকে মাথাব্যথা হতে পারে।
-
দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপ:
টেনশন, দুঃশ্চিন্তা বা মানসিক ক্লান্তিও মাথাব্যথার অন্যতম কারণ।
-
দেহে পানির ঘাটতি (ডিহাইড্রেশন):
পর্যাপ্ত পানি না খেলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত হয় এবং মাথাব্যথা হতে পারে।
-
অতিরিক্ত ক্যাফেইন বা চা-কফি:
নিয়মিত বেশি ক্যাফেইন গ্রহণের পর হঠাৎ কমিয়ে দিলে ‘উইথড্রয়াল সিনড্রোম’ হিসেবে মাথাব্যথা হতে পারে।
-
মাইগ্রেন:
মাইগ্রেন একটি নিউরোলজিক্যাল কন্ডিশন, যাতে এক পাশে তীব্র ব্যথা, বমি ভাব ও আলোতে সংবেদনশীলতা দেখা যায়।
-
সাইনাস সমস্যা:
নাক বন্ধ থাকা, চোখের চারপাশ ভারী লাগা, বিশেষ করে সকালে মাথাব্যথা হলে সেটা সাইনাসজনিত হতে পারে।
সমাধান ও করণীয়:
-
দৈনিক ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
-
পর্যাপ্ত পানি পান করুন, দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস।
-
কাজের মাঝে বিশ্রাম নিন, চোখের আরাম দিন।
-
মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহারের সময় ২০–২০–২০ নিয়ম অনুসরণ করুন (প্রতি ২০ মিনিটে ২০ সেকেন্ড দূরে তাকান ২০ ফুট দূরত্বে)।
-
দুশ্চিন্তা কমাতে মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা হালকা ব্যায়াম করুন।
-
প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন—বিশেষ করে মাইগ্রেন বা সাইনাসের ক্ষেত্রে।
-
চোখের সমস্যা থাকলে অবশ্যই চশমা ব্যবহার করুন।