• ২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ১৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কক্সবাজার থেকে রাজধানীতে ইয়াবার চালান: দুই নারীসহ ৪ জন আটক, উদ্ধার ৩৭ হাজার পিস

মনির হোসেন জীবন
প্রকাশিত জুলাই ১৬, ২০২৫, ১৪:২১ অপরাহ্ণ
কক্সবাজার থেকে রাজধানীতে ইয়াবার চালান: দুই নারীসহ ৪ জন আটক, উদ্ধার ৩৭ হাজার পিস
সংবাদটি শেয়ার করুন....

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার ধলেশ্বরী টোল প্লাজার এলাকায় র‌্যাব সাড়াশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ চারজন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। এ সময় জব্দ করা হয়েছে ৩৭,০৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। র‌্যাবের মতে, জব্দকৃত মাদকের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ১১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা।

আজ ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার থেকে আসা ‘নিউ বলেশ্বর’ নামের একটি এসি বাসে তল্লাশি চালিয়ে ইয়াবার বিশাল চালানটি উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার বিকেলে র‌্যাব-১০ এর সিপিসি-২ শ্রীনগর ক্যাম্প, মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব জানতে পারে, কক্সবাজার থেকে নিউ বলেশ্বর বাসযোগে কিছু মাদক ব্যবসায়ী একটি বড় ইয়াবার চালান নিয়ে কেরানীগঞ্জ থেকে মাওয়ার দিকে আসছে। এরপর র‌্যাব-১০ এর আভিযানিক দল ধলেশ্বরী টোল প্লাজার কাছে বাসটি থামিয়ে তল্লাশি চালায় এবং আনুমানিক ১ কোটি ১১ লক্ষ ২১ হাজার টাকা মূল্যের ৩৭,০৭০ পিস ইয়াবাসহ চারজন মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো খুলনা জেলার দৌলতপুর থানার আঞ্জুমান রোডের রানা বেগের স্ত্রী জ্যোতি খাতুন (২৫), একই এলাকার মৃত মোতালেব বেগের ছেলে রানা বেগ (৩৫), বরিশালের বানারিপাড়া থানার খোদাবক্স গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে মোঃ সোহেল মোল্লা (৩৩) এবং পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার ধাওয়া গ্রামের মৃত হারুন-অর-রশিদের মেয়ে শান্তা ইসলাম (২৫)।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারদের কাছ থেকে ৩৭,০৭০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক কেনাবেচার ১০ হাজার টাকা এবং ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানায়, তারা সীমান্ত এলাকা থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে বিভিন্ন কৌশলে দেশের নানা প্রান্তে মাদক সরবরাহ করত। তল্লাশির সময় আসামী জ্যোতি খাতুনের শরীরে হলুদ টেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি শপিং ব্যাগের মধ্যে থাকা ১৮৬টি এয়ারটাইট পলিপ্যাকে এই বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাওয়া যায়।

র‌্যাব আরও জানিয়েছে, মাদকবিরোধী জিরো টলারেন্স নীতির আওতায় তাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।