শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ এর শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা । সোমবার বেলা ১১টার দিকে কলেজের গেটের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে কলেজ শাটডাউন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একইসাথে প্রশাসনিক ভবনের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন , দেশের অন্যতম প্রধান চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও , বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উভয় ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে ।
বর্তমানে কলেজে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে । বিশেষ করে মেডিসিন , মাইক্রোবায়োলজি , প্যাথোলজি , ফিজিওলজি , সিসিইউ , গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি ইত্যাদি ডিপার্টমেন্টসহ ডেন্টাল ইউনিটেরও অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে । এতে মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত ক্লাস ও প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে ,
যা চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে ।
এসময় শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে দুই দফা দাবির কথা তুলে ধরেন । দাবিগুলো হল, ১. অনতিবিলম্বে মেডিকেল কলেজের সকল ডিপার্টমেন্ট এ শূন্য পদ গুলোতে শিক্ষক পদায়ন করতে হবে । ২.অবিলম্বে কমিউনিটি মেডিসিন , মাইক্রোবায়োলজি , প্যাথোলজি ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্ট এর বদলীকৃত শিক্ষকদের স্ব-পদে পুনরায় পদায়ন করতে হবে এবং
২৪ ঘন্টার মধ্যে এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে ।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা আশা করি , সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই সংকট নিরসনে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্ৰহন করবে । অন্যথায় সমাধান না করা পর্যন্ত আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে ।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়টি যৌক্তিক বলে কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করলেও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে রাখার কথা জানিয়েছেন তারা।

কলেজের প্রশাসনিক শাখা সূত্রে জানাগেছে , শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ৩৩১ জন শিক্ষক পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র দেড়শত জন । ১৮০টি পদে কোন শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তা নেই ।
অনুমোদিত পদের প্রায় ৬৫ ভাগেরও বেশি শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন , অবিলম্বে কমিউনিটি মেডিসিন , মাইক্রোবায়োলজি , প্যাথোলজি ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের বদলিকৃত শিক্ষকদের তাদের স্ব-পদে পুনরায় পদায়ন করতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে । অন্যথায় আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। শিক্ষক সংকটের কথা স্বীকার করে কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার বলেন, বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা হয়েছে। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।