
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারকে বহনকারী বিশেষ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
ঢাকায় অবস্থানকালে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। এর পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিস্তৃত পরিসর ছাড়াও আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
সরকারি সূত্র জানায়, সফরে কূটনীতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসামুক্ত যাতায়াত চুক্তি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিষয়ে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, দুই দেশের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা, ফরেন সার্ভিস একাডেমি এবং সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে একাধিক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে। সাংস্কৃতিক সহযোগিতা চুক্তিও নবায়ন করা হবে।
এছাড়া ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যা, স্বাধীনতা-পূর্ব অভিন্ন সম্পদের অংশীদারি, আটকেপড়া পাকিস্তানিদের ফেরত নেওয়া—এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আলোচনা হবে বলে কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে। সফরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১২ সালে হিনা রব্বানি খার পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। গত বছরের আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে চলে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সমুদ্রপথে বাণিজ্য শুরু এবং পাকিস্তানি পণ্যের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারসহ বেশ কিছু অগ্রগতি ঘটেছে।