• ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা সংকট : যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ১১ দেশের

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত আগস্ট ২৬, ২০২৫, ১২:২৬ অপরাহ্ণ
রোহিঙ্গা সংকট : যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি ১১ দেশের
সংবাদটি শেয়ার করুন....

যুক্তরাজ্য-ফ্রান্সসহ পশ্চিমা বিশ্বের ১১টি দেশ রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছে। বাকি দেশগুলো হলো—অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড।

আজ সোমবার সকালে ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডেল ও ফেসবুক পেজে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ অঙ্গীকার জানানো হয়।

রোহিঙ্গা সংকট জটিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমারের পরিস্থিতি ও বাংলাদেশের চলমান মানবিক সংকটের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখে সরকারের সঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আট বছর পেরোনোর পর আমরা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর সেই কর্মকাণ্ড স্মরণ করছি, যার ফলে বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। এখনো আশ্রয়শিবিরে নতুন শরণার্থী আসছেন।”

দেশগুলো রোহিঙ্গাদের সহনশীলতার প্রশংসা করে জানায়, তারা রাখাইনের অবনতিশীল পরিস্থিতিতেও দৃঢ়তা দেখিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ও সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, যারা নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদেরও আশ্রয় ও সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

রোহিঙ্গাদের নিজভূমিতে ফেরার ইচ্ছার কথা উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রত্যাবাসনের পথ খুঁজে বের করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও সম্মানের সঙ্গে ফিরে যাওয়ার মতো নয়। এজন্য মূল কারণগুলো সমাধান করে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল মিয়ানমার গড়ে তোলা জরুরি।

বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর সহিংসতা এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানানো হয়। সহিংসতা বন্ধ, মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং অন্যায়ভাবে আটক ব্যক্তিদের মুক্তির আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিত করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতিও দেশগুলো দিয়েছে।

এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধি, স্থায়ী সমাধান ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতির বিষয়টি জোর দিয়ে বলা হয়। কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণকেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয় তারা।

যৌথ বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের অংশগ্রহণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়, যাতে তারা বাংলাদেশে অবস্থানকালে নিরাপদ ও সম্মানজনক জীবনযাপন করতে পারে। দেশগুলো জানায়, আট বছর পরও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।

ভোর/রিপন/আইটি