• ১২ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ , ২৭শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নদীতে প্রতিমাসে মিলছে ৪৩ মরদেহ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশিত আগস্ট ২৭, ২০২৫, ১২:৩৯ অপরাহ্ণ
নদীতে প্রতিমাসে মিলছে ৪৩ মরদেহ
সংবাদটি শেয়ার করুন....

বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী কেরাণীগঞ্জের মীরেরবাগ এলাকা থেকে গত ২৩ আগস্ট শনিবার ভাসমান অবস্থায় গলায় কালো কাপড় প্যাঁচানো এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। মরদেহটি উদ্ধারের এক ঘণ্টা পরে একই স্থান থেকে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো অবস্থায় এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই একই দিনে বুড়িগঙ্গা নদী থেকেই এক যুবকের হাতের সঙ্গে এক যুবতীর হাত বাঁধা অবস্থায় দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। এভাবে নিয়মিত নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করছে নৌ-পুলিশ।

চলতি বছর প্রতিমাসে নদীগুলোতে গড়ে ৪৩টি করে মরদেহ পাওয়া যাচ্ছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা অঞ্চলের নৌ পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, চলতি বছর প্রতিমাসে গড়ে ৪৩টি মরদেহ পাওয়া গেছে নদীগুলোতে, যা গত বছর ছিল মাসে গড়ে ৩৭।

এসব মরদেহের প্রায় ৩০ শতাংশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নদীতে পাওয়া মরদেহগুলো অনেকদিন আগের হওয়ায় গলে-পচে যায়। আঙ্গুলের ছাপ নেওয়া যায় না, মুখমণ্ডলও বিকৃত হয়ে যায়।

ফলে অনেক সময় শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।
নৌ পুলিশ সুপার আরও জানান, জনবল ও লজিস্টিক সংকটের কারণে অনেক ক্ষেত্রে মরদেহ শনাক্ত ও তদারকিতে বেগ পেতে হয়।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালে নদীতে ৪৪০টি মরদেহ উদ্ধার হয়। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ২৯৯টি, আর অচেনা থেকে গেছে ১৪১টি। অন্যদিকে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে উদ্ধার হওয়া ৩০১টি মরদেহের মধ্যে শনাক্ত হয়নি ৯২টি।

অপরাধ বিশ্লেষকদের মতে, নদীতে মরদেহ ফেলা হলে তা শনাক্ত করা কঠিন হয়। এজন্য অপরাধীরা নদীকে গুমের ডাম্পিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করছে। বেশি লাশ উদ্ধার হয় এমন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো এবং মরদেহ শনাক্তে সব বাহিনীর সমন্বয় প্রয়োজন।